বুধবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. আব্দুল মতিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আমাদের দেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে তাদের বসবাসের জন্য আবাস্থল, খাদ্য, বস্ত্র স্বাস্থ্যসেবাসহ করণীয় সবকিছু করা হচ্ছে। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আমাদের এ মানবিক আচারণের প্রশংসা করছে।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে এবং তাদের মানবিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে, আগে থেকে অবস্থান করা রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় অরাধী চক্রের সহায়তায় অপরাধমনস্ক কিছু রোহিঙ্গা বিভিন্ন ধরনের অরাধকর্মে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের মধ্যে হত্যা, মারামারি, ছুরিকাঘাত, বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা এবং পিস্তল দিয়ে পরস্পরকে গুলি করার মতো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তবে তা প্রতিরোধে পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের যে কেউ অস্ত্র বা অন্য কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত হলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত অস্ত্র মামলায় ২৯ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে বিচারে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া হত্যা, মাদক সংক্রান্ত অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার এবং মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এসএম/এসকে/এমজেএফ