ক্ষতিগ্রস্তদের সাকসেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহে সহায়তার জন্য সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিমানমন্ত্রী।
গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে ইউএস-বাংলার প্লেন বিধ্বস্তের পর মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ জানাতে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।
শাহজাহান কামাল বলেন, প্লেনের যাত্রীদের সবার ইনস্যুরেন্স করা থাকে। ওয়ারসো কনভেনশন অনুযায়ী কেউ প্লেন দুর্ঘটনায় যদি মারা যান তবে তাদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পান। ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পাবেন তারা।
তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে খুব বেশি দিন লাগবে না। সব তথ্য ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কাছে দেওয়া হয়েছে। সাকসেশন সার্টিফিকেটের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। দ্রুত যেন সাকসেশন সনদ দেওয়া হয়ে সেজন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ বলেন, যখনই পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে আসবে সাকসেশনের ব্যাপারটা, তখনই ইনস্যুরেন্স কোম্পানি টাকাটা দেবে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মধ্যস্থতা করার কোনো সুযোগ নাই।
ইমরান আসিফ আরো বলেন, পাবলিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে যাতে যোগোযোগ করেন। আমাদের ইনস্যুরেন্স কোম্পানি একজন আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছে, প্রত্যেক পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রত্যেক নিহতের পরিবার ন্যূনতমভাবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পাবে। নেপাল মন্ট্রিল কনভেনশনে সই করেনি। আমরা প্রক্রিয়ায় আছি, রেটিফিকেশন হয়নি এখনও।
শাহজাহান কামাল বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার যাতে সাকসেশন সার্টিফিকেট পেতে পারে সে জন্য সিভিল এভিয়েশনকে আজ নির্দেশ দিচ্ছি। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে চিঠি দেওয়ায়ার জন্য সচিব আজকেই সিভিল এভিয়েশনকে চিঠি দেবে।
ওয়ারসো কনভেনশন এবং মন্ট্রিল চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ মন্ট্রিল চুক্তিতে এখনও রেটিফিকেশন করেনি। আমরা রেডি করেছি, আগামী সোমবারের মন্ত্রিসভায় আলোচনা করবো, বলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী।
দুর্ঘটনার পর নেপাল সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, নেপালের সিভিল এভিয়েশেন কর্তৃপক্ষ বোঝাতে চেষ্টা করেছে আমাদের পাইলটের কিছু ভুল। আমি বলেছি নো, ককপিটে যে ব্লাকবক্স আছে সেটা বের করেন।
বিমান সচিব এসএম গোলাম ফারুক বলেন, মন্ট্রিল কনভেশনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিসভায় পাঠাচ্ছি। নেপাল এটা করেনি, আমরা বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী হিসেবে এটাকে প্রস্তুত করার জন্য পাঠাচ্ছি।
ইউস-বাংলার সিইও দাবি করে বলেন, বাংলাদেশের পাইলট সেক্টরে যতো পাইলট ফ্লাই করেন তাদের মধ্যে আবিদ সুলতান অভিজ্ঞতা ও রেকর্ডের দিক থেকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখন সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কমিটিও কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এমআইএইচ/এমজেএফ