এজন্য হাতি বানিয়েছেন তিনি। এখন হাতিটি সাজানো হচ্ছে।
পাথরঘাটার অদূরে প্রান্তিক জনপদ কাকচিড়া ইউনিয়নের কূপধন গ্রাম। যেখানে দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বাংলা বর্ষ
বরণ এবং বৈশাখী মেলা হয়ে থাকে। মনি মণ্ডলের বাবা ও দাদার সময় থেকে এ আয়োজন চলে আসছে। নতুন প্রজন্মকে শিল্পকর্মের প্রতি আগ্রহী করতে এবং মেলায় কিছুটা ভিন্নতা আনতে বিগত সাত বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য বিভাগের সাবেক ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা মনি মণ্ডল হাতির মেলা নাম দিয়ে মেলা আয়োজন করছেন। প্রতি বছর ২ বৈশাখ এ মেলা হয়। মেলায় মনি মণ্ডলের নিজ হাতে গড়া হাতি, রং তুলি দিয়ে আঁকা বিভিন্ন ছবি, ফেলনা বিভিন্ন কাঠে আঁকা দেশি-বিদেশি বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবিসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়। এছাড়া আসবাবপত্র বিক্রি করতে খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এ মেলায় আসেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, শিশু-কিশোরদের নিয়ে মনি মণ্ডল কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মনি মণ্ডল বাঁশ, কাঠ আর খড় দিয়ে তৈরি করেছেন হাতি। এখন সেটি রঙ-বেরঙের কাপড় দিয়ে সাজাচ্ছেন। তাকে সাহায্য করছে এসএসসি ফলপ্রার্থী মো. খাইরুল ইসলাম। পাশেই পাটি বিছিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে ছবি আঁকছে শিশুরা।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গণমাধ্যম কর্মী মো. আরিফুর রহমান বলেন, মনি মণ্ডলের উদ্যোগে প্রতিবছর হাতির মেলা হয়ে থাকে। যা প্রশংসার দাবিদার।
কবি ইদ্রিস আলী খান বলেন, প্রান্তিক জনপদেই শুধু নয়, সারাদেশেই মনি মণ্ডল একটি আইকন। তার মেধাকে সরকার কাজে লাগালে বিশেষ করে ভাস্কর্য শিল্প ও হস্তশিল্প আরও এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এসআই