ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

২২টি সিঁড়ি অতিক্রম করলেই ‘সোনার বাংলা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫৯, এপ্রিল ১০, ২০১৮
২২টি সিঁড়ি অতিক্রম করলেই ‘সোনার বাংলা’

সংসদ অধিবেশন থেকে: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিবছর একটি করে দেশকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

তিনি বলেছেন, আমাদের হাতে ২২ বছর আছে, রূপকল্প ২০৪১ এ পৌঁছতে। আর মাত্র ২২টি সিঁড়ি বা ধাপ অতিক্রম করলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পৌঁছাতে পারবো।


 
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে এক বিবৃতি প্রদানকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতি এলাকায় কিছু অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হীরন্ময় নেতৃত্বে অর্জিত এসব গৌরবময় সাফল্যগাঁথা দেশবাসীকে জানানো গেলে তারা উজ্জ্বীবিত হবে। তারা আগামীতে আরও বড় বড় অর্জনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।
 
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন রূপকল্প ২০২১ । এই রূপকল্পের মাধ্যমে তিনি জাতির কাছে অঙ্গীকার করেছিলেন ২০২১ সালের মধ্যে জাতিকে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দেবেন।  আর সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবেন, ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো জ্বলবে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশ হবে একটি মধ্যম আয়ের দেশ।
 
‘আজ দেশের মানুষের কাছে ২০২১ কেবলমাত্র একটি স্বপ্ন নয়, এটি বাস্তবতা। বিদুৎ প্রায় সবার ঘরে পৌঁছে গেছে, বাংলাদেশ আজ সত্যিকার অর্থেই ডিজিটাল। আমাদের ছেলে মেয়েরা সবাই আজ স্কুলে যায়, তারা এখন আর স্লেট, পেন্সিল নিয়ে স্কুলে যায় না, তাদের কাঁধে থাকে স্কুল ব্যাগ আর ব্যাগে থাকে একটি স্মার্ট ফোন। ’

আরও পড়ুন>>
** 
আরো ২৫ বছর সংসদে সংরক্ষিত আসনের প্রস্তাব
 
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনীতিবিদদের বিবেচনায় মধ্যম আয়ের দেশ  বলে কোনো কিছু নেই। এমন কোনো সংজ্ঞাও নেই। পৃথিবীর কোনো দেশ অর্থনীতির বিবেচনায় গরিব বা ধনী তা বিশ্লেষণ করে মূলত দুটি বিশ্বসংস্থা-এর একটি জাতিসংঘ এবং অন্যটি বিশ্বব্যাংক।  

‘জাতিসংঘ তাদের আওতাভুক্ত ১৯৩টি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মূল্যায়ন করে। তাদের মূল্যায়নে সবচাইতে নিচের দিকে থাকে যে দেশ-তাকে বলা হয় হতদরিদ্রের দেশ, তার উপরে যাদের অবস্থান তাদের পারিচয় স্বল্পন্নোত দেশ, এর উপরে যারা তাদের বলা হয় উন্নয়নশীল দেশ আর সর্বশেষ ধাপ উন্নত দেশ। ’

তিনি বলেন, গত ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতিসংঘ আমাদের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি জাতির জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল কাহিনী।
 
মন্ত্রী জানান, অর্থনৈতিক উন্নয়নের এ পর্যায়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একই কাতারে আছে চীন, ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিনসহ আরো অনেকেই।  

‘আমি মনে করি এই অর্জনটি আমাদের জন্য মধ্যম আয়ের দেশের মতোই। যার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেখিয়েছিলেন,’ যোগ করেন তিনি।  
 
আইএমএফ-এর সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে ভেনিজুয়েলাকে পেছেনে আমরা ৪৩ থেকে ৪২ নম্বরে অবস্থান করছি। আমাদের হাতে আছে আরও ২২ টি বছর। প্রয়োজন এখন উন্নয়নের সেই সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে আরও ২২ ধাপ উপরে ওঠা।

‘উদ্দেশ্য একটাই জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণ। একটি সুখী সমৃদ্ধিশালী মর্যাদাশীল দেশ। তাই আরও ২২টি সিঁড়ি ভাঙতে হবে আমাদের। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এসএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।