বিলটি যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি বেশ কয়েকটি বৈঠক করে বিলটিতে ব্যাপক সংশোধন ও বিয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সংসদ অধিবেশনে বিলের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয় সংসদীয় কমিটি। কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভুঁইয়া রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। এতে বিলের নাম পরিবর্তন করার সুপারিশ করে কমিটি। সেনানিবাস বিলের পরিবর্তে রাখা হয় ক্যান্টনমেন্ট আইন-২০১৮।
বিলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্টের জন্য একটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠন করতে পারবে সরকার। প্রত্যেক ক্যান্টন্টমেন্টে বোর্ডের জন্য একজন এক্সিকিউটিভ অফিসার থাকবেন। সরকার আবশ্যক মনে করলে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নৌ ঘাঁটি বা বিমান ঘাঁটির জন্য বোর্ড গঠন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাপেক্ষে ওই বোর্ডের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
বিলের ১৯ দফার পরিমার্জন করে বলা হয়েছে, কোনো ক্যান্টনমেন্ট বা তার অধিকাংশ বা কোনো অংশ সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার নির্ধারিত এলাকার মধ্যে অবস্থিত হলে বা কোনো ক্যান্টনমেন্ট যে সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার নিকটতম সেই ক্যান্টনমেন্টের বোর্ড ওই সিটি কর্পোরেশনের অনুরূপ যথাক্রমে একটি সিটি কর্পোরেশন বা একটি পৌরসভা হিসেবে গণ্য হবে। সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার অধীন এলাকায় নাগরিকদের যে পৌর সুবিধা দেওয়া হয় বোর্ড যতদূর সম্ভব তেমন সুবিধাদি কান্টনমেন্টের বাসিন্দাদের দেবে।
পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের বিধানাবলি লঙ্ঘন করে কোনো অপরাধ সংঘটিত করার কারণে ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য বিনা পরোয়ানায় কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না।
বিলের অপর এক উপ-ধারায় বলা হয়েছে, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে অসামরিক পুলিশ কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে কোনো অভিযোগে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেশন কমান্ডারকে অবহিত করতে হবে। এদিকে বিলের ২১২ ধারায় বলা হয়েছে, ক্যান্টনমেন্ট সীমানার বাইরে সন্নিহিত ১০০ মিটার এলাকাকে সংলগ্ন এলাকা হিসেবে গণ্য করা হবে। এই সংলগ্ন এলাকায় ৪০ ফুটের অধিক উচ্চতার কোনো ভবন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পূর্বানুমোদন ছাড়া নির্মাণ করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়েছে, ক্যান্টনমেন্টের নিরাপত্তা বা অন্যবিধ প্রয়োজনে বোর্ড বা সামরিক কর্তৃপক্ষ সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ বা টহল দিতে পারবে। এছাড়া সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই ধারায় বর্ণিত সংলগ্ন এলাকার সীমা আবশ্যক ক্ষেত্রে বর্ধিত বা হ্রাস করতে পারবে।
এর আগে বিলটি উত্থাপনের সময় আপত্তি জানান জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি ফখরুল ইমাম। পরে সেই আপত্তি কণ্ঠভোটে দিলে তা নাকচ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ