সংরক্ষিত আসনের বিলটি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে যাচাই-বাচাই করে বিলটি উত্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দশম সংসদের ২০তম অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় সংসশোধনী এনে বলা হয়েছে- “সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন-২০১৮ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করিয়া পঁচিশ বৎসরকাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাঙ্গিয়া না যাওয়া পর্যন্ত পঞ্চাশটি আসন কেবল মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে এবং তাঁহারা আইনানুযায়ী পূর্বোক্ত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তন্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হইবেন। ”
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “স্বধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও আইন প্রণয়নে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তদানীন্তন গণপরিষদ কর্তৃক প্রণীত ১৯৭২ এর মূল সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫ এর দফা (৩) এর বিধানে জাতীয় সংসদে মহিলা সদস্যদের জন্য সংবিধান প্রবর্তন হতে ১০ বছর সময় অতিবাহিত হওয়ার অব্যবহিত পরবর্তী সময়ে সংসদ ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত ১৫টি আসন সংরক্ষণ করা হয়।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকার কারণে সমাজে সকল ক্ষেত্রে মহিলাদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। সবশেষ সংশোধনী অনুযায়ী সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫ এর দফা (৩) এর বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১০ (দশ) বছর মেয়াদ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ শেষ হবে।
সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে ওই সময় অতিবাহিত হওয়ার পর জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য কোনো আসন সংরক্ষিত থাকবে না। সংরক্ষিত আসনের প্রয়োজনীয়তা এখনও বিদ্যমান রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ সংরক্ষিত আসনের মহিলা-সদস্যদেরকে নিয়ে গঠন করতে হলে দশম সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় সংবিধানে এ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা আবশ্যক। ”
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ