মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান লিটন, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাসু শেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (০৮ এপ্রিল) গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ছাত্র নিহতের জের ধরে বাস পোড়ানোর ঘটনা ও মহাসড়ক দিয়ে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
সোমবার (০৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ জেলার সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরিবহন শ্রমিকরা ঢাকা-খুলনা মহসড়কে বেরিকেড সৃষ্টি করে পিকেটিং ও বিক্ষোভ করে। এতে গোপালগঞ্জের ওপর দিয়ে খুলনা, বাগেরহাট, নাজিরপুর, পিরোজপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলার চলাচলরত যানবাহন যেতে না পারায় সাধারণ যাত্রীরা পড়ে চরম ভোগান্তিতে।
সমঝোতা বৈঠকের পর মঙ্গলবার রাত থেকে দূরপাল্লাসহ আভ্যন্তরীণ সব রুটে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
আরবি/