সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানায় পুলিশ।
আটক আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার পাগুরিয়া গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে মিনহাজ মিয়া, উপজেলার মিরপুর এলাকার শেখ মো. মদনের ছেলে শেখ আবেদ আহমদ ও জগৎপুর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে জাহেদ আহমদ আলাল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত (৩১ মার্চ) রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুরা ইউনিয়নের পাগুরিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রিপন মিয়ার (২২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রিপনের বাবা কাছর মিয়া মৌলভীবাজার মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। রিপন হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু ছিল না পুলিশের হাতে। এমনকি নিহতের পরিবারও কেন তাকে হত্যা করা হতে পারে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এরপরও মাত্র এক সপ্তাহ অনুসন্ধান চালিয়ে আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে পেরেছি। আটক যুবকরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এর মধ্যে মিনহাজ মিয়া আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
আসামিদের বরাত দিয়ে এএসপি রাশেদ জানান, রিপন সমবায় ব্যবসা করত। কয়েকজন যুবক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তার কাছে জমা রাখত। সপ্তাহ শেষে সেই টাকার লটারি হতো এবং একজনকে বিজয়ী করে টাকাগুলো তাকে দেওয়া হত। মিনহাজ ও তার সঙ্গীরাও একই কাজ করত। দু’জনের মধ্যে রিপনের জনপ্রিয়তা ছিল বেশি। মিনহাজ ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে পড়ে রিপনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা মোতাবেক ৩১ মার্চ রাতে রিপনের দোকানে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করেন মিনহাজ ও তার সঙ্গীরা। পুলিশ যাতে ধারণা করে চুরি করতে এসে রিপনকে হত্যা করা হয়েছে সেইজন্য আশপাশের কয়েকটি দোকানের তালা ভেঙে চুরির আলামত তৈরি করে তারা।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
আরএ