মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের একথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারাগারগুলো বিদেশের মতো উন্নত করতে হবে। একেকটি কারাগার হবে পুনর্বাসন কেন্দ্র। এখান থেকে কয়েদিরা যেন প্রতি সপ্তাহে তাদের পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলতে পারেন।
তিনি আরো বলেছেন, কারাগারের ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। কারাগারের সদস্যরা বিভিন্ন অর্থনীতিমূলক কাজ করবেন। তাদের হাতে তৈরি পণ্য বিক্রি করা হবে। এর অর্ধেক পাবে জেল কর্তৃপক্ষ এবং বাকিটা কয়েদি পাবেন। জেল থেকে উৎপাদিত টাকা পরিবারের সদস্যদের পাঠাতে পারবেন কয়েদিরা।
একনেক সভায় ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার নির্মাণ’ প্রকল্পটি সংশোধিত আকারে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন।
২০০৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৪৬৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের অধীনে নতুন জেলখানা নির্মাণের মাধ্যমে বিচারাধীন আসামিদের বসবাসের পরিবেশ উন্নত করা হবে। পাশাপাশি বন্দিদের উন্নত ও আধুনিক স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ