ঢাকা, বুধবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

রাজশাহীতে কালবৈশাখীর পর শিলাবৃষ্টি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:০২, এপ্রিল ৫, ২০১৮
রাজশাহীতে কালবৈশাখীর পর শিলাবৃষ্টি রাজশাহীতে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি

রাজশাহী: রাজশাহীর ওপর দিয়ে চলতি মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী বয়ে গেছে বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল )। বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজশাহী মহানগরী ও এর আশেপাশের জেলা উপজেলার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। প্রায় পনেরো মিনিট এই ঝড় স্থায়ী ছিল। এর পরপরই শুরু হয় মৃদু শিলাবৃষ্টি।

কিছু সময়ের মধ্যে শিলাবৃষ্টি থেমে গেলেও মুষলধারায় বর্ষণ চলে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে মহানগরীর মধ্যাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টিতে অপ্রস্তুত নগরবাসী পড়েন বিপাকে। মুহূর্তের মধ্যে রাস্তাঘাট যানবাহন শূন্য হয়ে পড়ে। এতে পথচারী ও দুপুরের খাবার বিরতিতে আসা কর্মমুখী মানুষ দুর্ভোগের শিকার হন।  

বর্ষণের শুরুতেই শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমের গুটির ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক কম হয়েছে। এর আগে গত ৩০ মার্চ রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের প্রথম ঝড়-বৃষ্টি হয়। এতে তেমন ক্ষতি হয়নি।
রাজশাহীতে কালবৈশাখী ঝড়ের পর শিলাবৃষ্টি, জলাবদ্ধতারাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায় ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৪৬ কিলোমিটার। অর্থাৎ ২৫ নটিক্যাল মাইল। সাধারণত ২০ নটিক্যাল মাইলের উপরে হলে তাকে কালবৈশাখী বলা হয়। তাই রাজশাহীর উপর দিয়ে চলতি মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী বয়ে গেছে।

ঝড়ের সময় ধূলিকনা ওড়ায় নাস্তানাবুদ হন নগরবাসী। আর গ্রামাঞ্চলে ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়। বিশেষ করে প্রথম দিকের শিলাবৃষ্টির কারণে রাজশাহী ও আশপাশের এলাকায় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে যায়। তবে পরিমাণ কম হওয়ায় ক্ষতিও কম হয়েছে। এ সময় মহানগরীসহ আশপাশের উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ধীরে ধীরে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এর আগে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহীতে মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছিল।

জানতে চাইলে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বাংলানিউজকে বলেন, আজ ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ নটিক্যাল মাইল। এটিকে কালবৈশাখী বলা হয়।

ঝড়ের শেষে মহানগরীসহ আশপাশের এলাকায় মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছে। বেলা পৌনে ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহীতে ২২ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।  

এটি মৌসুমী ঝড়-বৃষ্টি। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এটা স্বাভাবিক। এজন্য এই মৌসুমকে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমও বলা হয়। তবে রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৭ ডিগ্রির মধ্যে ওঠা-নামা করছে।  

বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং বেলা ৩টায় ছিল ৪৯ শতাংশ; জানান রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান।

এদিকে, ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কয়েকটি স্থানে এবং খুলনা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের এক বা দুই স্থানে ঝড়ো হাওয়া ও ঘূর্ণিঝড়সহ বাতাসের সাথে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ