এসময় মেঘনা নদীর পশ্চিম তীর দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মেঘনা গ্রুপ, প্রভিটা কোম্পানিসহ পাঁচটি পাকা স্থাপনা ও ২০টি টং ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) ও বুধবার (৪ এপ্রিল) দুই দিনব্যাপী সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম বানু শান্তি।
অভিযানকালে মেঘনা গ্রুপ, প্রভিটা কোম্পানি ও ইউনিক গ্রুপের ভরাট করা অংশ এক্সাভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে কেটে নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ, বিআইডব্লিউটিএ’র মেডিকেল অফিসার ডা. জাকিরুল হাসান ফারুক, মো. শাহআলম প্রমুখ।
উচ্ছেদ অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ অগ্রণী, একটি ভেকু মেশিন, একটি টাগবোটসহ বিপুল সংখ্যক উচ্ছেদ কর্মী, নৌ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপ-পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, দু’দিন ব্যাপী চলা অভিযানের প্রথমদিনে মঙ্গলবার নদী দখলের অভিযোগে মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ কোম্পানিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেঘনা নদী দখল করে গড়ে ওঠা পাঁচটি পাকা স্থাপনা ও ২০টি টং ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা বালু ও পাথর এক লাখ ৫৬ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
মেঘনা নদীর পশ্চিম তীরে মেঘনা গ্রুপ, প্রভিটা কোম্পানি ও ইউনিক গ্রুপ নদীর বেশ কিছু অংশ বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ওই সব অংশ ভেকু দিয়ে কেটে নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
জিপি