সরকারি দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। এছাড়া স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ থেকে অনবরত মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দেশাত্মবোধক গান শোনা যাচ্ছে।
সোমবার (২৬ মার্চ) ভোরে সাভারের স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার পরই সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধের ফটক খুলে দেওয়া হয়। এরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দলের সদস্যসহ দলে দলে আসতে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ।
নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীসহ সকল শ্রেণির মানুষের স্রোতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলে ফুলে ভরে উঠছে শহীদ বেদি।
আগত জনতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের টানে দলে দলে মানুষ এখানে জড়ো হচ্ছেন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাদের এ আগমন।
বাবারা ছোট সন্তানকে কোলে করে নিয়ে এসেছেন শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে এমন চিত্রও চোখে পড়েছে অনেক। এসময় ছোট বাচ্চাদের স্মৃতিসৌধের সাতটি স্তম্ভের বিবরণও দিচ্ছেন বাবারা।
এমন একজন বাবা আবুল হোসেন এসেছেন তার পাঁচ বছরের মেয়ে সন্তান প্রিয়াকে নিয়ে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েকে নিয়ে এসেছি আজকের এই মহান দিনে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে। মেয়ে স্মৃতিসৌধে প্রথমে এসেছে, তাই তার মনে অনেক প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি এবং তাকে ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছি প্রাঙ্গণ।
সালাম দুই বন্ধুর সঙ্গে এসেছেন শহীদ বেদিতে ফুল দিতে। এসময় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর এতো অত্যাচারের ফলেও আমরা একটি স্বাধীন দেশ অর্জন করেছি। আর আজ হচ্ছে আমাদের সেই স্বাধীনতার দিবস। এ দিনটি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
দিবসটি উপলক্ষে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের এলাকায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
পুলিশ-র্যাব ছাড়াও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজরদারীতে রেখেছেন গোটা এলাকাটি।
এছাড়াও স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণের বাইরে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে সবসময় মনিটরিং করা হচ্ছে চারদিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৮
এসএ/এমএসি/এইচএস/টিএ