ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩২, ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৭ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়বে নতুন প্রজন্ম

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০১, মার্চ ২৫, ২০১৮
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়বে নতুন প্রজন্ম আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন আনিসুজ্জামান/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: একাত্তরে বাঙালি অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই ভবিষ্যৎ প্রজন্মও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাময় বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

রোববার (২৫ মার্চ) বাংলা একাডেমি আয়োজন করে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন এবং গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান। বিকেলে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালায় আমরা তার দলিলপত্র প্রণয়ন করতে পেরেছি, যুদ্ধপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, এটা আমাদের সাফল্য। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রণীত সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শের রাষ্ট্র গঠনের পথে আমাদের অনেক দূর যাওয়ার আছে।

একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষের এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।  

এসময় তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বাংলাদেশকে বেদনার সঙ্গে গণহত্যা দিবস পালন করতে হয়। আমরা আশা করি বিশ্ব সম্প্রদায় ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেবে।

অনুষ্ঠানে ’২৫ শে মার্চের পাকিস্তানি গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন ড. নূহ-উল-আলম লেনিন এবং ফিরোজ আহমেদ।

প্রাবন্ধিক বলেন, ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যখন ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়, তখন বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় আগামী দিনে আরো ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ আজ ভীষণভাবে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত একটি আত্মমর্যাদাবান জাতি-রাষ্ট্র। এবারের গণহত্যা দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসের প্রত্যাশা আমাদের সামনের পথচলা পরিপূর্ণভাবেই যেন বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে অহর্নিশ বহমান থাকে।

আলোচকদ্বয় বলেন, বাঙালি দুর্বল ও হীনবল বলে যে প্রচারণা চলে এসেছে, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা তা ভুল প্রমাণ করেছি। নানা আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৪৮-এ সূচিত ভাষা আন্দোলন ৫২-তে পরিণতি পায়। তারপর ন্যায্য দাবির নানান আন্দোলন একাত্তরে এসে মুক্তির মোহনায় মিলিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।