স্থাপিত নিম্নমানের সিসি ক্যামেরাগুলো দিয়ে অপরাধীদের চেহারাও শনাক্ত করা যায় না। এ কারণে সিসি ক্যামেরাগুলো কোনো কাজের নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুধু মার্চ মাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের করিডোর, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও টিএসসি থেকে ৫টি বাইসাইকেল চুরি হয়েছে। সাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের কারও চেহারা শনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা।
গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রায় অর্ধ শতাধিক সাইকেল চুরি হয়েছে যার একটিও শিক্ষার্থীরা ফেরত পাননি। এছাড়াও ক্যামেরাগুলো সঠিক স্থানে না লাগানোর জন্য অপরাধীদের চেহারাও শনাক্ত করতে পারেন না নিরাপত্তা কর্মীরা। যার কারণে ক্যাম্পাসে দিন দিন অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ শিবলু বলেন, নিরাপত্তা শাখায় সিসি টিভি মনিটরিং করার জন্য কোনো লোক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সার্বক্ষণিক নজর না দিলে কোথায় কী হচ্ছে তা বোঝা যায় না। এ কারণে অপরাধীদের শনাক্তও করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান মো. মহিউদ্দীন হাওলাদার বলেন, সাইকেল চুরির ঘটনাগুলো আমরা জানতে পেরেছি। আমরা সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, সিসি টিভি মনিটরিং এর জন্য এখনও লোক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মনিটরিং এর জন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সিসি ক্যামেরার দিকে না তাকালে তো অপরাধীদের চেহারা শনাক্ত করা সম্ভব না। এরপরও আমরা অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
আরএ