ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৬ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

কোচ পাচ্ছে জয়ন্তিকা-উপবন, পাহাড়িকা-উদয়ন

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:২৬, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭
কোচ পাচ্ছে জয়ন্তিকা-উপবন, পাহাড়িকা-উদয়ন কোচ পাচ্ছে জয়ন্তিকা-উপবন, পাহাড়িকা-উদয়ন

ঢাকা: ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেন জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেসের কোচ সংখ্যা বাড়িয়ে নতুন করে উদ্বোধন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের ট্রেন পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেসেও কোচ যোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মোবাইল ফোনে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক রেলওয়ের নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা  বাংলানিউজকে জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেন জয়ন্তিকা ও উপবন ১৬টি কোচ দিয়ে চালানো হবে।

একইভাবে এ মাসেই সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে কোচ সংখ্যা বাড়‍ানো হবে।

দীর্ঘদিন থেকে এই চারটি ট্রেনে বগি সংকট ছিলো। যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনা করে রেলওয়ে এখন কোচ বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করা হবে। কোচ পাচ্ছে জয়ন্তিকা-উপবন, পাহাড়িকা-উদয়নরেলমন্ত্রী জানান, ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের তুর্ণা প্রভাতীসহ অন্য ট্রেনগুলো থেকে অবমুক্ত করা কোচ দিয়েই চালানো হবে জয়ন্তিকা ও উপবন। ২৩ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে এই কোচ চলা শুরু করবে।

নতুন কোচ বাংলাদেশে এলে প্রথমেই সিলেট রুটের ট্রেনে সংযোজন করা হবে, জানান রেলমন্ত্রী।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিলেট-চট্টগ্রামের প্রাণভোমরা হিসেবে পরিচিত পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি দীঘদিন ধরে অবহেলিত ছিলো। অনেক যাত্রী অভিযোগ জানান, ট্রেন দু’টির বেশিরভাগ আসনই শোভন শ্রেণীর। ১০ ঘণ্টা কোমর সোজা করে ৩৭৭ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ খুবই কষ্টের।

উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম ছাড়ে পৌনে ১০টায় এবং সিলেট পৌঁছে ভোর ৬টা ৫৫ মিনিটে। আবার সিলেট ছাড়ে রাত ৯টা ২০ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম পৌঁছে ৬টা ৩৫ মিনিটে।

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সিলেট ছাড়ে সকাল সোয়া ১০টায় এবং চট্টগ্রাম পৌঁছে রাত ৮টায়। পাহাড়িকা চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছাড়ে সকাল সোয়া ৮টায় এবং সিলেটে পৌঁছে বিকেল সাড়ে ৫টায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস মাত্র একটি এসি চেয়ার, একটি নন এসি কেবিন, দু’টি শোভন চেয়ার ও একটি ডাইনিং শোভন চেয়ার, বাকিগুলো শোভন শ্রেণীর আসন নিয়ে চলছিলো।

অন্যদিকে জয়ন্তিকা ট্রেনে যাত্রীর চাপ থাকলেও প্রথম শ্রেণীর আসন ও এসি কোচ ছিলো না। এখন নতুন করে কোচ সংযোজনে আসন ও এসি আসন বাড়বে।

জয়ন্তিকা ঢাকা ছাড়ে দুপুর ১২টায় এবং সিলেট পৌঁছে রাত পৌনে ৮টায়। আগে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে সিলেটে ঢুকে পড়তো। আবার জয়ন্তিকা সিলেট ছাড়ে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এবং ঢাকা আসে বিকেল ৪টা ২০মিনিটে।

উপবন ট্রেন ঢাকা ছাড়ে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে এবং  সিলেট পৌঁছে ভোর সাড়ে ৫টায়। আবার সিলেট থেকে ছেড়ে আসে রাত ১০টায় এবং ঢাকা আসে ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে।

বাংলাদেম সময়: ০৭২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
এসএ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।