ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০১ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৩৩, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তি/ ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে নগরীর ফার্মগেট, মহাখালী, মিরপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন ও কারওয়ানবাজার এলাকায় এ দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তির শিকার হাজার হাজার যাত্রী।

গুরুত্বপূর্ণ এসব মোড়ে একটি আসনের জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে, যা দুর্ভোগের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সদ্য বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি পাওয়া আব্দুল হাই (২৫) বাংলানিউজকে বলেন, ‘মাত্র সাতদিন ধরে চাকরিতে ঢুকেছি। একদিনও সঠিক সময়ে অফিসে যেতে পারিনি, দেরি করে ফেলছি। সব সময় আতঙ্কে থাকি, কখন যে অফিস থেকে বলে দেওয়া হয়, আর আসার দরকার নেই’।

তিনি আরও বলেন, ‘২০ মিনিটের রাস্তা। দুই ঘণ্টা আগে বের হই, একটি গাড়িতেও সিট পাই না। অধিকাংশ গাড়ি দরজা বন্ধ করে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত এই গণপরিবহন সংকটে চাকরি না হারাতে হয়’।


ফার্মগেটে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা গৃহিণী সানজিদা আক্তার ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান  বিভাগের এক ছাত্রী বলেন, ‘এই পরিবহন সংকটে শুধু ভোগান্তিই না, যৌন হয়রানিরও শিকার হই আমরা নারীরা। বাসের ভেতরে প্রচণ্ড ভিড়ের সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু পুরুষ যাত্রী ছাড়াও বাসের শ্রমিকরা এ ধরনের হয়রানি করে থাকেন’।

মোহাম্মদপুর-আব্দুল্লাহপুর রুটের তেঁতুলিয়া পরিবহনের মালিকপক্ষে আব্দুল মতিন গণপরিবহন সংকটের কথা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক বছর আগেও একটি বাস বা মিনিবাস দিনে ১৫০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার চালানো সম্ভব ছিল। সেখানে বর্তমানে যানজটের কারণে ৭০/৮০ কিলোমিটারের বেশি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে নতুন  উদ্যোক্তারা পরিবহন ব্যবসায় আসতে চান না। এর ফলে  গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজালে দুর্ভোগ কমে আসবে। সঙ্গে বাড়াতে হবে গণপরিবহন। এজন্য বেসরকারি সেক্টরের পাশাপাশি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে বিআরটিসিকেও।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির  মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, রাজধানীতে যে পরিমান গণপরিবহনের দরকার, তার চেয়ে ৪০ শতাংশ কম রয়েছে। বেড়ে যাচ্ছে ব্যক্তিগত পরিবহন, কমছে গণপরিবহন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য মতে, নগরীতে চলাচল করা বাসের সংখ্যা ৮ হাজার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজারে, হিউম্যান হলার ২০ হাজার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজারে, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ১৩ হাজার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
এসটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।