ঢাকা, শনিবার, ২১ ভাদ্র ১৪৩২, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বিশ্বব্যাংক ঋণ ব্যবসা করছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৫, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বিশ্বব্যাংক ঋণ ব্যবসা করছে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের নামে বিশ্বব্যাংক ঋণ ব্যবসা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) টিআইবি সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এবং উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোটের (ক্লিন) যৌথ আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

২২ থেকে ২৮ অক্টোবর জলবায়ু ন্যায্যতা সপ্তাহ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উন্নত দেশের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। আর এ কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। তাই দায়ী দেশগুলো বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশকে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ না দিয়ে কূটকৌশলে বিশ্বব্যাংকের মাধ্যেমে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।
 
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক সুদ ছাড়া ঋণ দেয় না। বাংলাদেশকে যে ২ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে তা ঋণ। ক্ষতিপূরণে সহয়তার নামে বিশ্বব্যাংক ঋণ ব্যবসা করছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তেনের ক্ষতিপূরণ চাই, ঋণ চাইনা।

সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য সরকার ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড গঠন করেছে। এ জন্য সরকার আন্তর্জাতিকভাবে পুরুস্কৃতও হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের যে কূটনৈকিত দক্ষতা রয়েছে তাতে দায়ী দেশগুলো কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে। আশা করছি আগামী সম্মেলনে দেশুগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আসবে সরকার। পাশাপাশি দায়ীরা যাতে বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দোষী করতে না পারে সে জন্যে পরিবেশ বান্ধব শিল্পকারখানা গড়ে তুলার দাবি জানান তিনি।
 
৭-১৮ নভেম্বর মরোক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিদ্যমান প্রতিশ্রুতির তুলনায় গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন ব্যাপক হারে কমিয়ে নতুন বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।  

যাতে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ গড়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকাসহ ১১ দফা প্রস্তাব তুলেন ধরেন।  
 
বাকি গুলো হচ্ছে- প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমের হার কমানো হচ্ছে কি না সেটি যাচাই বাচাই, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করার জন্য শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থা ও পরিবীক্ষণ সংস্থা গড়ে তুলতে হবে।

এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। যাতে কার্বন নির্গমন কমানোর বিপরীতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়। প্রতিশ্রুতি অনুসারে শিল্পোন্নত দেশ থেকে সবুজ জলবায়ু তহবিলের প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি ডলার প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
এমএফআই/আইএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।