খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক বলেছেন, বিরোধী পক্ষদ্বয়ের সহযোগিতার ওপরই পাহাড়ের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি নির্ভর করছে। কোন একটি পক্ষ না চাইলে বিরোধ নিষ্পত্তি সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ির ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকালে তিনি চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি আসেন।
তিনি বলেন, আমরা আবেদনপত্র গ্রহণ করেছি। সেগুলো যাচাই বাছাই করে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিবো। তারা আসবো। তারপর কোন পক্ষের জায়গা সেটি খুঁজে বের করে বিরোধ নিষ্পত্তি করবো।
আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়বে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমিশনের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ৪৫ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি সময় বাড়ানোর চাহিদা থাকে তাহলে আমরা আবার কমিশনের বৈঠকে তা উত্থাপন করে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সময় বাড়াবো। কমিশন যতদিন আছে ততদিন একটা মানুষও ফেরত যাবেনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আগের কমিশনের সময় জমা দেওয়া আবেদন নতুন করে ফাইল করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই আবেদনগুলো আমরা নিচ্ছি। তবে পুনরায় যদি কেউ আবেদন করতে চান তবে আগের করা আবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।
কমিশনের কার্যক্রমের উপর আস্থা রাখা উচিত জানিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক বলেন, আমরা বিরোধ নিষ্পত্তি করার কাজ করবো। একটি পরিবারকে বিনষ্ট করার মত কোন কাজ করবো না। এটা কোথাও বলা নাই যে কাউকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করে দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হবে। কোন পক্ষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এর আগে ২৪ অক্টোবর শেষ হয়েছে কমিশনে আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা। এতে প্রায় ১৫ হাজারেও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর রাঙামাটিতে কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৬
আরএ