ঢাকা: আয়নাবাজি সিনেমার পাইরেসি করা হয়েছে এমন ১৮টি সার্ভার লিংকের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনটি বাংলাদেশে এবং বাকি ১৫টি দেশের বাইরে।
এই পর্যন্ত প্রায় ২২ থেকে ২৫টি ফেসবুক লিংক পাওয়া গেছে যেখান থেকে আয়নাবাজি সিনেমাটি প্রকাশিত হয়েছে।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম টিমের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম টিমের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আমরা অনুসন্ধানে ১৮টি সার্ভার লিংক পেয়েছি, এর সব কয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের ভেতরে উত্তরা, বাড্ডা ও খিলক্ষেত এলাকা থেকে পরিচালিত তিনটি লিংক আমরা নজরদারি করছি।
এছাড়াও যেসব ফেসবুক আইডি শনাক্ত করা হয়েছে সেগুলো নজরদারি করা হচ্ছে। এর পেছনে যারা আছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আয়নাবাজি সিনেমার পাইরেসি করার পেছনে সর্বমোট ৫০ জনের মত লোক জড়িত থাকতে পারে বলে আমরা ধারনা করা হচ্ছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আয়নাবাজি সিনেমার পাইরেসির সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করে সিটিটিসি ইউনিটের সাইবার ক্রাইম টিম।
আটককৃত আসামির নাম আতিকুর রহমান অভি। বাড্ডা এলাকায় ‘বাড্ডা নেট জোন’ নামে তার একটি ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যবসায় রয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে একটি কস্পিউটার হার্ডডিক্স ও ইন্টারনেট সার্ভারের সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির (মিডিয়া) উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আয়নাবজি পাইরেসি হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার ক্রাইম টিম তদন্তে নামে।
তিনি বলেন, এই সিনেমাটি বেশ কয়েক জায়গা থেকে আপলোডের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বুধবার রাতে বাড্ডা এলাকা থেকে অভিকে আটক করা হয়।
অভি একজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী, সে কারণে সিনেমাটি নিজের সার্ভারে আপলোড করে দেয় যাতে তার গ্রাহকরা সিনেমাটি দেখার সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, এই সিনেমার পাইরেসির সঙ্গে জড়িত মূল ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে আয়নাবাজির লেখক ও নির্মাতা সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন বালেন, আমরা দুই বছর পরিশ্রম করে এই সিনেমাটি তৈরি করেছি। এই পরিশ্রম এক নিমিশেই শেষ হয়ে যাক এটা আমরা আশা করি না।
তিনি বলেন, ‘We have to do, because we are sufferer.’ আজ যদি এই পাইরেসি কন্ট্রোল না করা যায়, তবে বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
যে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বদ্ধভাবে এই ছবিটি ইন্টারনেটে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে আপনারা কি ব্যবস্থা নেবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি আপলোডের পর ওই কোম্পানিটি সঠিক সিকিউরিটি দিতে পারেনি। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো’।
**আয়নাবাজির পাইরেসি করায় যুবক আটক
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৬
এসজেএ/বিএস