ঢাকা: বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ নারী মৈত্রী নির্বাহী পরিচালক শাহিন আকতার বলেছেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রায় এক কোটি ত্রিশ লাখ বাড়তি শ্রমশক্তি যুক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ লাখ নারী শ্রমিক।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘কৃষিতে আয়, ভূমিতে সমঅধিকার হোক উন্নয়নের নতুন অঙ্গীকার’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শাহিন আকতার বলেন, ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশের এক কোটি বিশ লাখ নারী শ্রমিকের প্রায় ৭৭ শতাংশই গ্রামীণ নারী। এই নারীরা কৃষিকাজ, পশুপালন, হাঁসমুরগি পালন, মাছ চাষ ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত।
তিনি বলেন, ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রামে নারীর এই অবদান স্বীকৃতি ও উচ্চারণের বাইরে থেকে যাচ্ছে। কৃষিতে নারীর এ অবদানকে পারিবারিক শ্রম হিসেবে গণ্য হয়। আমাদের উচিত কৃষিক্ষেত্রে নারীর শ্রমকে মূল্যয়ন করা।
তিনি আরো বলেন, নারী-পুরুষের সমান অধিকার থাকলেও পুরুষেরা ৯৬ শতাংশ জমির মালিক। যেখানে নারীর রয়েছে মাত্র চার শতাংশ।
অনুষ্ঠানে বিআইডিএস এর ফেলো ড. এম আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারীর অবদান ৫৩ শতাংশ। বিপরীতে পুরুষের অবদান ৪৭ শতাংশ। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীরা মূল্যায়ন পান না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রণোদনার অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে প্রদত্ত এক কোটি ৩৯ লাখ কৃষক কার্ড বিতরণ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো নরীর ভাগ্যে একটিও জোটেনি। যেখানে নারীর শ্রমশক্তির ৬৮ শতাংশ কৃষি উৎপাদন থেকে বিপণন কাজের সঙ্গে জড়িত।
নারীনেত্রী ও বিএনপিএস-এর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন-বিআইডিএস এর সাবেক সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প্রতিমা পাল মজুমদার, অক্সফামের সিনিয়র পলিসি অফিসার মেহবুবা ইয়াসমীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৬
আরএটি/জেডএস