ঢাকা, বুধবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

হাতে তৈরি বোমায় প্রথম শত্রু নিধন করেন তিমির দত্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:০৮, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
হাতে তৈরি বোমায় প্রথম শত্রু নিধন করেন তিমির দত্ত ছবি-শাকিল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যে দু’জন ব্যক্তি নিজ হাতে বোমা তৈরি করে প্রথম শত্রু নিধন করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা তিমির লাল দত্ত।

রোববার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিনিয়র রিপোর্টার তিমির দত্তের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় এ কথা স্মরণ করিয়ে দেন তার একমাত্র মেয়ে মন্দিরা দত্ত।

বাবার স্মৃতিচারণ করে মন্দিরা বলেন, বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সেটা হয়তো অনেকেই জানেন। তবে অনেকেই জানেন না, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিজ হাতে তৈরি করা বোমা দিয়ে বাবা এবং তার আরেক সঙ্গী প্রথম শত্রু নিধন করেছিলেন। তার সেই সঙ্গী শহীদ হন।

সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা তিমির দত্তের মেয়ে আরও জানান, বাবা ছিলেন অসীম সাহসী ব্যক্তি। ব্যক্তি জীবনে অনেক স্বপ্ন দেখা মানুষটি কিছুই পূরণ করতে পারেননি বলেও আক্ষেপ জানান তিনি।

রোববার ভোরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান সাংবাদিক তিমির দত্ত। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

রোববার ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয় তিমির দত্তকে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে প্রেসক্লাব চত্বরে তিমির দত্তের মরদেহ আনা হলে তার প্রতি সম্মাননা জানান তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এছাড়াও এসময় জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, স্বাধীনতা সাংবাদিক পরিষদ, সম্পাদক পরিষদ, ল’ রিপোর্টারস ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

হাসানুল হক ইনু স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিমির দত্তের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে আমরা যেমন একসঙ্গে লড়াই করেছি, তেমনি পেশাগত জীবনেও একসঙ্গে পথ চলেছি। তার আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা আজ হতবিহ্বল। মহান এ মুক্তিযোদ্ধার জীবনে যেমন সঙ্গে ছিলাম, তার মৃত্যুতেও তার পরিবারের পাশে থাকবো।
সকাল পৌনে ১১টার দিকে ডিআরইউতে শ্রদ্ধা জানাতে তিমির দত্তের মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এরপর জাতীয় প্রেসক্লাবে তার মরদেহ নেওয়া হয়। এরপর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে বরিশাল শহরের নিজ বাড়িতে তিমির দত্তের মরদেহ নেওয়া হবে।

**সাংবাদিক তিমির দত্ত আর নেই
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ অক্টোবর ২৩, ২০১৬
জেপি/এএটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।