ঢাকা, বুধবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুলাই ২০২৫, ২০ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

ড. কামালের লেখা সেই চিঠি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩৭, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫
ড. কামালের লেখা সেই চিঠি ড. কামাল হোসেন

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টকে শক্তিশালী করতে প্রধান বিচারপতি বরাবরে একটি চিঠি দিয়েছেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন।

চিঠিতে হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগ, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় নিম্ন আদালতের শূন্যপদ পূরণ, বদলি-পদোন্নতি, বেতন ও সংশ্লিষ্ট বিষয় উল্লেখ করেছেন তিনি।



গত ৫ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের কাছে এ চিঠি দেন ড. কামাল।

গত ২ জানুয়ারি শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় আদালতের সব ধরনের ‘অনিয়ম’ তদন্তের জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেবেন বলে উল্লেখ করেছিলেন ড. কামাল হোসেন।

চিঠিতে উচ্চ আদালতকে শক্তিশালী করতে এক বা একাধিক সাবেক প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কমিটি, হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগ, নিম্ন আদালতে বিষয়ে বিধি প্রণয়ন, কোর্ট অব রেকর্ড সংশ্লিষ্ট সংবিধানের ধারাগুলো সম্পর্কিত আইনের অনুপস্থিতি, বরাদ্দ, স্টাফ ও নিম্ন আদালতের তত্ত্বাবধানের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এসবের পেছনে বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত ঘাটতি রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় নিম্ন আদালতের শূন্যপদ পূরণ, বদলি-পদোন্নতি, বেতন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির কথাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এসব বিষয়ে অবসরে যাওয়া এক বা একাধিক প্রধান বিচারপতিকে যুক্ত করে একটি কমিটি বা কমিশন গঠন এক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন ড. কামাল।

চিঠিতে বলা হয়, এ পদক্ষেপ নিলে নাগরিকের ওপর আস্থা ও সম্মান বৃদ্ধি, সংবিধান ও মৌলিক অধিকারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠায় সুপ্রিম কোর্ট শক্তিশালী হবে।

২ জানুয়ারি এ চিঠি সম্পর্কে ড. কামাল বলেছিলেন, অন্তত ১০ জন সাবেক প্রধান বিচারপতি জীবিত আছেন। তাদের নিয়ে কমিটি করে এসব অনিয়মের তদন্ত করতে হবে। চিঠিটা দিচ্ছি। আশা করি, দুই লাইনের হলেও উত্তর পাবো। সর্বোচ্চ আদালতের দেড়শ’ বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে আদেশ চেয়ে না পেলে স্বাধীনতা অর্থহীন হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।