নগরের কোলাহল ও ব্যস্ততার মাঝে মানুষ যখন খুঁজে ফেরে এক চিলতে প্রশান্তি, তখনই সেই চাওয়াকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে বসুন্ধরা হাউজিং।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর, বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ‘বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক’।
.jpg)
.jpg)
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন ব্লকে (N Block) নতুন এই পার্কটি হবে কমিউনিটির প্রাণকেন্দ্র, যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও আধুনিক জীবনের প্রয়োজনীয়তা মিলেমিশে তৈরি করবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। পার্কটি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সকল বাসিন্দার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উন্মুক্ত থাকবে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, পার্ক উদ্বোধনের জন্য চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পার্কজুড়ে কর্মীদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো।
পার্কের মাঝ দিয়ে বিস্তৃত একটি সুবিশাল লেক, এটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জায়গাজুড়ে বিস্তার লাভ করেছে। লেকের চারপাশ ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে নান্দনিক জগিং ট্র্যাক এবং সাইক্লিং লেন। পাশাপাশি শিশুদের জন্য রয়েছে নিরাপদ ও আনন্দদায়ক প্লে জোন। আর স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য স্থাপন করা হয়েছে শারীরিক চর্চার বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জাম।
সবমিলিয়ে প্রকৃতি ও আধুনিকতার সমন্বয়ে গড়ে উঠছে এক প্রশান্তিময়, স্বাস্থ্যসম্মত এবং সামাজিকভাবে সংযুক্ত একটি সবুজ পরিসর।
পার্কে ঘুরতে আসা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, নতুন এই পার্কটি হবে স্বস্তির এক নতুন অধ্যায়। একজন বাসিন্দা বলেন, ‘শহরের ব্যস্ততা আর ধোঁয়াশার মধ্যে এই পার্কটা যেন এক টুকরো সবুজ প্রশান্তি। পরিবার নিয়ে সন্ধ্যাবেলা একটু হেঁটে বেড়ানো, বাচ্চাদের খেলাধুলা – সব কিছুই এখানে সম্ভব। ’
আরেকজন জানান, ‘এটা শুধু একটা পার্ক নয়, আমাদের কমিউনিটির জন্য এটি একটি প্রাণকেন্দ্র। এখানকার পরিবেশ যেমন পরিচ্ছন্ন, তেমনি নিরাপদও। আশেপাশে এমন ফ্রি এবং উন্মুক্ত জায়গার খুব প্রয়োজন ছিল। ’
পার্কটিতে রয়েছে যে-সব আধুনিক সুবিধাসমূহ: বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্কে রয়েছে নান্দনিক ও আধুনিক সবুজ সুবিধা, যা নগরজীবনের একঘেয়েমি কাটিয়ে এনে দেবে এক নতুন প্রশান্তির অনুভব। এখানে রয়েছে সুবিশাল লেক, আছে প্রশস্ত জগিং ট্র্যাক এবং আলাদা সাইক্লিং লেন। শিশুদের জন্য রয়েছে নিরাপদ ও আনন্দদায়ক প্লে জোন, যেখানে তারা নিশ্চিন্তে খেলাধুলা করতে পারবে। খোলামেলা পরিবেশে আরাম করে বসার জন্য রয়েছে প্রশস্ত বসার জায়গা, আর দিনশেষে প্রশান্তি খুঁজে নেওয়ার জন্য রয়েছে পরিবেশ ঘনিষ্ঠ মনোরম ক্যাফে। সবকিছু ঘিরে রয়েছে সবুজে ঘেরা মুক্ত এক পরিবেশ।
সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন
এসআই