রাজধানীর আদাবরের শ্যামলী হাউজিং এলাকায় পুলিশ সদস্য আল-আমিনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় কুখ্যাত ‘কবজি কাটা’ গ্রুপের দুই ভাই মো. জনি (২৪) ও মো. রনিসহ (২৭) নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তার অন্যান্যরা হলো- মো. ওসমান (২০), মো. নাজির (২০), মো. রাজু (২৭), মো. শাকিল (১৯), মো. আবুল কামাল আজাদ (১৯), মো. রেজু খান আলম (২২) ও মো. আল-আমিন (১৮)।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, ১ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টা ২৫ মিনিটে আদাবর শ্যামলী হাউজিং এলাকায় একটি অপহরণের ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অপহরণকারীরা পুলিশ ও সংবাদদাতাদের ওপর অতর্কিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্য আল-আমিনের হাতের কবজি ও বাম হাতে গুরুতর কাটার জখম হয়। এছাড়া, অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও বিভিন্ন মাত্রায় আহত হন। হামলাকারীরা পুলিশের টহল গাড়ি ভাঙচুর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ওই ঘটনার পরেই ডিবি-তেজগাঁও বিভাগের একাধিক আভিযানিক দল এই গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। পরে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকা থেকে ‘কবজি কাটা গ্রুপের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেপ্তাররা রাজধানীর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার ভয়ংকর ‘কবজি কাটা’ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। গ্রুপের প্রধান ‘কবজি কাটা’ আনোয়ার জেলে থাকায় জনি ও রনি এলাকায় গ্রুপটি পরিচালনা করছিল। তারা পুলিশের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন, ইভটিজিং, অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি ও জবর দখলের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এমএমআই/জেএইচ