ঢাকা: দেশের প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে রমনায় আইইবির সামনে আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সাব্বির মোস্তফা খান লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রকৌশলীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, কর্মস্থলের নিরাপত্তা ও মর্যাদা জাতীয় উন্নয়ন, অবকাঠামো, শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের জন্য অপরিহার্য। অথচ সম্প্রতি একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড ও অযৌক্তিক পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রকৌশল পেশাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
আইইবি ২৭ আগস্ট প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা জানায়, দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতা শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের আক্রমণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আইইবির ৫ দাবি হলো—
১. জাতীয় বেতনস্কেল-২০১৫ এর ১০ম গ্রেডসহ সব গ্রেড উন্মুক্ত রাখা, তবে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা।
২. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (নিয়োগ) বিধিমালা, ১৯৮১ অনুযায়ী ৯ম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী/সমমান পদে ৩৩% পদোন্নতি ও ৬৭% সরাসরি নিয়োগের বিধান বাস্তবায়ন করা।
৩. যেসব দপ্তরে ইতোমধ্যে ৩৩% এর অধিক পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, তাদের স্বপদে ফিরিয়ে নেওয়া অথবা আনুপাতিকভাবে নতুন পদ সৃষ্টি করে সরাসরি নিয়োগ নিশ্চিত করা।
৪. বিভিন্ন দপ্তরে ৯ম গ্রেডের বিদ্যমান শুন্য পদ দ্রুততম সময়ে পূরণ করা।
৫. উন্নয়ন বাজেট বৃদ্ধির পরও প্রকৌশল পদ না বাড়ায়, প্রতিটি মন্ত্রণালয়/দপ্তরে যৌক্তিক সংখ্যক নতুন প্রকৌশল পদ সৃষ্টি ও দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করা।
তবে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি এখনো ঘোষণা দেয়নি।
এমএমআই/আরআইএস