উপদেষ্টাদের দেওয়া সরকারের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ। বরং তারা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে শুরু করেছে, এমনকি উপদেষ্টাদের সামনে থাকা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে জুতা ও বোতল ছুঁড়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বের হওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তাদের ঘেরাও করে রাখে।
পরে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ভবনের সামনে হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য দেন আসিফ নজরুল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আসিফ নজরুল বলেন, আপনাদের দাবির সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত। আপনারা যে দাবিগুলো করেছেন তা অত্যন্ত যৌক্তিক। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিচ্ছি আপনাদের প্রতিটা দাবি পূরণ করব। অভিভাবক হিসেবে আমরা সহানুভূতি জানাতে এখানে ছুটে এসেছি। আপনাদের দাবি মেনে নেব। কোমলমতি যারা প্রাণ হারিয়েছে অবশ্যই তাদের প্রকৃত অবস্থা জানানো হবে। কতজন শহীদ হয়েছে, কতজন আহত হয়েছে প্রকৃত তথ্য জানানো হবে। সব দাবি আমরা মেনে নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কনফারেন্স রুমে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। যে বাহিনী আপনাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসুন, আহত ও নিহতদের পাশে দাঁড়াই।
তবে তার বক্তব্যে আশ্বস্ত না হয়ে শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে শুরু করে। এ সময় উপস্থিতিতে ধস্তাধস্তি ও হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে উপদেষ্টারা আবারও ভবন-৫ এ ফিরে যান।
বিকেল পৌনে ২টা পর্যন্ত ভবনের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তখনও ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। তাদের শান্ত রাখতে চেষ্টা করেন শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধি দল।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্ঘটনা কবলিত হায়দার আলী ভবন পরিদর্শনে যান দুই উপদেষ্টা। সেখান থেকে ভবন-৫ এ যাওয়ার পথে শিক্ষার্থীরা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পথ রোধ করার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি ভবনে পৌঁছালে পরে সেখানে যোগ দেন শিক্ষা উপদেষ্টাও।
এমএমআই/এমজে