ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার, কেরানীগঞ্জ পৌরসভা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫০, অক্টোবর ২১, ২০২৫
সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার, কেরানীগঞ্জ পৌরসভা

সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত সেপ্টেম্বরে বিভাগীয় কমিশনারদের সভায় সাভারকে সিটি করপোরেশন করার প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, ঢাকা শহরের প্রসার ও জনসংখ্যার চাপে কেরানীগঞ্জ উপজেলা অপরিকল্পিতভাবে দ্রুত নগরায়ণের মুখোমুখি হচ্ছে। পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠান না থাকায় সড়ক, ড্রেনেজ, পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কিংবা স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক নাগরিক সেবা প্রদান করা যাচ্ছে না। কেরানীগঞ্জে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে রাজধানীর পাশে একটি আধুনিক ও প্রাণবন্ত উপশহর হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

একইভাবে অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র এবং জনসংখ্যার চাপ মিলিয়ে সাভার এক বিশাল নগর এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখানে সাভার পৌরসভা থাকলেও তা নাগরিক চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। পৌরসভার সীমিত সম্পদ ও জনবল দিয়ে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার নাগরিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সাভারের আশুলিয়া অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক গার্মেন্টস শিল্প, শ্রমিকবসতি এবং আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। আশুলিয়া এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে পরিকল্পিত নগরায়ণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুবিধা, নিরাপদ পানি সরবরাহ কিংবা পরিবেশ সংরক্ষণের মতো নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার সক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই। ফলে আশুলিয়া এলাকার জনগণকে যানজট, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ও অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

প্রস্তাবনায়, সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠন করা এবং কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে সদয় নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।

প্রস্তাবটি প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করেছেন উল্লেখ করে বলা হয়, উল্লিখিত প্রস্তাবের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।

এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।