ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় মাদক কেনা-বেচার সময় মোজাম্মেল হোসেন ও তার সহযোগী মো. ইব্রাহীম খলিল বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, বাড্ডা থানাধীন বেরাইদ, সাতারকুল, কাজী বাড়ি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার নাওড়া এলাকায় মোজাম্মেল হোসেন (৩৩) ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসাসহ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি ছিনতাই করে আসছিলো।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ জাকিউল করিম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে মোজাম্মেলের গতিবিধির ওপর গোয়েন্দা নজরদারি করছিলো র্যাব। প্রযুক্তি গত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং মাঠ পর্যায়ে তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও হত্যা মামলা রয়েছে এবং তার সহযোগীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও চাঁদাবাজির প্রমাণ পাওয়া যায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে মোজাম্মেল হোসেন ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা থানার বেরাইদ ব্রিজ হয়ে মোটরসাইকেল যোগে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এলাকার ভেতর দিয়ে মাদক কেনা-বেচার জন্য কাজী বাড়ী এলাকায় যাচ্ছে। তথ্যানুযায়ী কাজী বাড়ী এলাকার রাস্তায় অবস্থান নেয় র্যাবের একটা দল। ওই রাস্তা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের তল্লাশি করে দুই রাউন্ড গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়।
কমান্ডার মোহাম্মদ জাকিউল করিম জানান, অস্ত্র দিয়ে জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ভাড়া ও কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত ছিল আসামি মোজাম্মেল। তার অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। রাজধানীর নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
এমএমআই/জেএইচ