ছাপা পত্রিকাকে একপাশে সরিয়ে রাখলে বর্তমান সময়ে অনলাইন গণমাধ্যম সংবাদ জানার নির্ভরযোগ্য এক জায়গা হয়ে উঠেছে। আর তাৎক্ষণিক এবং সঠিক সংবাদ জানতে মেইনস্ট্রিম অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের ওয়েবসাইটে প্রবেশ এখন হরহামেশা ব্যাপার! দেশ-বিদেশের খবর তাৎক্ষণিক জানার পাশাপাশি তৃণমূলের মানুষও তৃণমূলের সঠিক সংবাদের জন্য এখন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ঢুঁ মারছে।
তৃণমূলের মানুষ সাধারণত তার নিজ এলাকার খবরকেই গুরুত্ব দেয় সবার আগে। নিজ এলাকার কোথায় কি ঘটছে তা তাৎক্ষণিক জানতে এখন আর টিভি সেটের সামনে বসে থাকতে হয় না। যখন-তখন স্মার্টফোনের ব্রাউজার রাখা অনলাইন নিউজ পোর্টাল স্ক্রল করা হচ্ছেই। বাংলানিউজ এমনি নির্ভরযোগ্য এক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। যা সারা দেশের সংবাদ গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করছে তাৎক্ষণিক।
পদ্মাসেতু চালুর পূর্বে, রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যোগাযোগ ছিল অন্যরকম শঙ্কার! এই ফেরি চলাচল বন্ধ হলো কি না! ঘাটে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট রয়েছে কি না! আবার প্রবল স্রোতে কোনো ফেরি ভেসে গেছে দূর পদ্মায়, সাহায্য ছাড়া ফিরতে পারছে না গন্তব্য। ঘন কুয়াশায় নৌ-যান বন্ধ বা কুয়াশা কেটে চলাচল শুরু ইত্যাদি তথ্যের জন্য মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যমের একটি বাংলানিউজ। ওই সময়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ প্রকাশ করে এই রুটের যাত্রীদের চাহিদা মিটিয়েছে বাংলানিউজ, যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হতে পেরেছি আমি।
এ ছাড়া মানবিক নিউজে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা-সহযোগিতা পাবার সংখ্যাও কম নয়। বাংলানিউজে প্রায়শই কৃতি শিক্ষার্থীর সংবাদ প্রকাশের পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন অনেকেই।
দুর্নীতির সংবাদে যেমন নড়েচড়ে বসে প্রশাসন, তেমনি কাগজের পত্রিকা না পৌঁছানো প্রত্যন্ত গ্রামের সচেতন পাঠকের সংবাদ জানার চাহিদা মিটাচ্ছে বাংলানিউজ। বিশেষ করে নিজ এলাকার সঠিক সংবাদের জন্য বাংলানিউজের জেলাভিত্তিক ক্যাটাগরি সাধারণ মানুষের সংবাদ তৃষ্ণা মেটাচ্ছে।
বড় বড় ইভেন্ট। যেমন পদ্মাসেতুর উদ্বোধন, দক্ষিণাঞ্চলে রেল যাত্রার উদ্বোধন, নৌরুট, মহাসড়কে বড় দুর্ঘটনায় অসংখ্য হতাহত, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনসহ অসংখ্য বড় ঘটনায় মুহূর্তে মুহূর্তে সংবাদ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের সংবাদ তৃষ্ণা মিটিয়েছে বাংলানিউজ; যার ধারা চলমান। দীর্ঘ ১৫ বছরে এভাবেই পাঠকের আস্থায় পরিণত হয়েছে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৬ বছরে পদার্পণে প্রিয় পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই অভিনন্দন।
লেখক: ইমতিয়াজ আহমেদ, জেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর।