ঢাকা: বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ অন্যান্য দাবিতে রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীরা মূল সড়কে অবস্থান নিলে নতুন বাজার-গুলশান-বনশ্রী সংযোগ সড়কে যান চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নানা নাটকীয়তা ও বিলম্বের’ মধ্যেও ন্যায্যবিচার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তারা।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ধর্ণা দিলেও কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি। এর ফলে ‘আরেকটি জুলাই’ আসার আগেই তারা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের একজন লাবিব মুহান্নাদ জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে যে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ২৫ জনকে বহিষ্কার করেছে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি। ইউনাইটেড গ্রুপ আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে টাকা দিতো। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
‘শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিল, তাদের আশ্বাস দিয়ে আট মাস বসিয়ে রাখা হয়। পরে তারা ভিসি পদত্যাগসহ তাদের অধিকার রক্ষায় ফের আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলন দমানোর জন্য ২৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই। ’
গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউআইইউ থেকে উপাচার্য, ২৪ জন ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালক পদত্যাগ করেন। গত রোববার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
যদিও ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসে সরাসরি ক্লাস ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি করে আসছেন।
গত ২ জুন ৪১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে স্থায়ী ও ১৬ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বাকি একজনকে সতর্কবার্তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে বেলা দেড়টার দিকে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিব হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এখনো সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
এমএমআই/এএটি