ঢাকা: দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফল নিয়ে রাজধানীর খামারবাড়িতে জমে উঠেছে মৌসুমি ফলের মেলা।
শুক্রবার (২০ জুন) ছুটি থাকায় মেলার দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই ফলপ্রেমী ও সাধারণ ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিশেষ করে ফ্রেশ ও ভালো মানের আমের চাহিদা ছিল বেশি। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা ছাড়াও পাহাড়ি অঞ্চলের আম, আনারস, কলা, ড্রাগন ফ্রুট, মাসরুম ও প্রক্রিয়াজাত ফল পাওয়া যাচ্ছে মেলায়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শুরু হয়েছে এই মেলা, যা চলবে শনিবার (২১ জুন) পর্যন্ত।
মেলায় অংশ নিয়েছে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে ১০টি সরকারি ও ৫৭টি বেসরকারি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, হর্টিকালচার ফাউন্ডেশন, মাসরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণা, উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম উপস্থাপন করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের উপপরিচালক শাহ মো. শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, নগরবাসীর কাছে দেশীয় ও নতুন জাতের মৌসুমি ফল পরিচিত করিয়ে দিতেই এই মেলার আয়োজন।
আমের দাম তুলনামূলক কম থাকায় ক্রেতারাও সন্তুষ্ট। চাষিরা বলছেন, এবার ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে আমের সরবরাহ বেশি, তাই দাম কম।
তবে ব্যবসায়ীদের অনেকে জানান, ঈদের পর মানুষের হাতে অতিরিক্ত টাকা না থাকায় চাহিদা কিছুটা কম।
ঢাকার একটি কলেজের শিক্ষক ড. খাইরুল ইসলাম তার ১০-১২ বছরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন।
তিনি বলেন, এই মেলার মাধ্যমে আমাদের ফলভাণ্ডার সম্পর্কে জানা যায়। যেহেতু এটা সরকারি আয়োজন, তাই এর মান ও গুরুত্ব বেশি। এখানকার ফলগুলো যাচাই-বাছাই করে আনা হয়, যেন তেন কিছু নয়। দামও তুলনামূলকভাবে ঠিক রাখা হয়েছে। এর ফলে ফলের বাজার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এমন মেলা ঢাকার বাইরে দেশের প্রধান শহরগুলোতেও হওয়া দরকার।
মেলায় হিমসাগর, আম্রপালি, ক্ষীরশাপাত, গোপালভোগ ও লক্ষণভোগ আম পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।
ফলের মান ভালো এবং তুলনামূলক ফ্রেশ, তাই দাম কিছুটা বেশি হলেও মেলায় কেনাকাটা করছেন মেলার দর্শনার্থীরা।
জেডএ/এসআইএস