ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

টেলিকম কর্মী অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ, সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৮, জুন ১৬, ২০২৫
টেলিকম কর্মী অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ, সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা

ঢাকা: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে টেলিকম কর্মী অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের উদ্ধারের ঘটনায় সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) সার্বস কমিউনিকেশন লিমিটেড এক বিজ্ঞপ্তিতে এ হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি অনুমোদিত টাওয়ার কোম্পানি ইডটকো বিডি’র হয়ে চট্টগ্রামসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় অবস্থানরত টাওয়ারগুলোর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সাল থেকে সফলতার সঙ্গে কোনো প্রতিন্ধকতা ছাড়া ওই দায়িত্ব পালন করে আসছে। টাওয়ারগুলো থেকে মূলত রবি ও অন্যান্য টেলিকম প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক তথা ভয়েস কল, ডাটা ও সব ধরনের সেবা যেমন- মোবাইল ব্যাংকিং এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অ্যাপস পরিষেবা চালনা করা হয়।

গত ৫ জুন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মো. কাসেম আলীর ছেলে মোহম্মদ সুমন ইসলাম (৩২ বছর) ও মো. নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহিম ( ৩৬ বছর) আমাদের এ দুই কর্মী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার লেলাং ইউনিয়নের কর্নফুলী বাজার এলাকায় রবি টাওয়ারে কর্মরত অবস্থায় নিখোঁজ হন। বিষয়টি অবহিত করে ফটিকছড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ১০ দিন হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সে ঘটনায় নিখোঁজ কর্মীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।  

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বেলা ১১টায় খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ইডটকোর আওতাধীন রবি মোবাইল টাওয়ার থেকে ইসমাইল মিয়া এবং আব্রে মারমা নামক অপর দুই কর্মীকে অপহরণ করা হয়। এ নিয়ে জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ‍্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়। অপহৃতদের উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিকটস্থ আর্মি ক্যাম্প এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেও প্রায় দু’মাসেও তাদের উদ্ধার করা যায়নি। অপহৃতদের পরিবার, স্বজন ও সহকর্মী এ ঘটনায় আতঙ্কিত ও চরমভাবে উদ্বিগ্ন।

দুই মাসের মধ্যে পরপর এরকম অপহরণের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার কর্মী ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আর অপহৃত এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার ও স্বজনরা পার করছেন এক কঠিন সময়। তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় দ্রুততম সময়ে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। আর মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, এ ধরনের ঘটনার সুরাহা না হলে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সেবা অব্যাহত রাখা সত্যিকার অর্থেই কঠিন হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় সব ভয় ও আতঙ্ক দূর করতে নিখোঁজ ও অপহৃতদের দ্রুত উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছে সংস্থাটি।

টিআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।