ঢাকা: মোবাইল অপারেটররা বাজেটে যে প্রত্যাশা করেছিল তার প্রতিফলন হয়নি এবং প্রস্তাবিত বাজেটে এমন কোনো পদক্ষেপ বা উদ্যোগের ইঙ্গিত দেখা যায়নি বলে মনে করে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় এমনটা জানিয়েছে দেশের মোবাইল অপারেটরদের এ সংগঠন।
বুধবার (৪ জুন) এমটব এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের মোবাইল সেক্টরে ন্যূনতম কর্পোরেট ট্যাক্স দুই শতাংশ থেকে কমিয়ে ১.৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এছাড়াও, বিটিআরসি এবং অন্যান্য আয় বহির্ভূত সংস্থাগুলোর জন্য রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসন করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এ প্রেক্ষাপটে, অন্যান্য সরকারি সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘদিনের অনিষ্পন্ন অনুরূপ সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী।
এতে আরও বলা হয়, গত এক দশক ধরে মোবাইল টেলিকম সেক্টরে ট্যাক্সের ধারাবাহিক বৃদ্ধি অপারেটরদের জন্য বিনিয়োগে যুক্তিসঙ্গত রিটার্ন অর্জনকে ক্রমশ কঠিন করে তুলেছে। তার ওপর, বাজেটে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ডিজিটাল কনটেন্টের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী মূল্যকে প্রভাবিত করতে পারে— যা একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। আমরা কর্পোরেট ট্যাক্স রেট কমানো (তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত উভয় অপারেটরের জন্য), সিম ট্যাক্স ও সিম প্রতিস্থাপন ট্যাক্স বাতিল এবং এক শতাংশ সারচার্জ প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছিলাম।
এছাড়াও, স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি ও ডেটা খাতের সম্প্রসারণে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ট্যাক্স কমানোর আশা করা হচ্ছিল। তবে, প্রস্তাবিত বাজেটে এমন কোনো পদক্ষেপ বা সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের ইঙ্গিত দেখা যায়নি। ইন্টারনেট সেবার ওপর উইথহোল্ডিং ট্যাক্স ১০ শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশ কমানো একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও এটি শুধুমাত্র ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাই সাধারণ ভোক্তাদের ইন্টারনেট খরচের ওপর এর কোনো প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না।
আমরা সাম্প্রতিক এ পরিবর্তনগুলোর প্রশংসা করি এবং আশা রাখি সরকার আমাদের অবশিষ্ট প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনা করে দেশের পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সম্ভাবনা উন্মোচনে আরও অবদান রাখবে।
এমআইএইচ/আরআইএস