ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মঙ্গল শোভাযাত্রা নয়, এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
মঙ্গল শোভাযাত্রা নয়, এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ফাইল ছবি

ঢাকা: বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে যে শোভাযাত্রা বের হয়, তার নাম বদলেছে। আগে এর নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।

নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক কাজী আজাহারুল ইসলাম শেখ এ কথা জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাপক এই আয়োজনের লক্ষ্যে শোভাযাত্রার নামকরণ করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’, যার ছায়াতলে দেশের বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটবে। প্রতিফলিত হবে বর্তমানের সব শ্রেণির মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং ফুটে উঠবে শোভাযাত্রার প্রকৃত আনন্দ।

তিনি বলেন, এবারের নববর্ষ উদযাপনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এক নতুন এবং অগ্রসর দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একই ভূখণ্ডে বসবাসরত সব ভাষা ও সংস্কৃতির অশীজনেরা একসঙ্গে ঐকতান করতে যাচ্ছেন। এবারের নববর্ষ বাংলাদেশি প্রতিটি মানুষের। এবারের প্রতিপাদ্য  ‘নববর্ষে ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।

কাজী আজাহারুল ইসলাম শেখ বলেন, এ বছরের আয়োজনকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। বাক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মননের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হবার বার্তা দিতে হবে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির লক্ষ্যই হচ্ছে মানবিক ও উদার একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণ করা। এবারের বৈশাখ হবে সবার। আমাদের ভূখণ্ডে বসবাসরত সব জাতিগোষ্ঠী এবারের বৈশাখ বরণের অংশীদারত্ব অর্জন করেছে।  

তিনি আরও বলেন, পাহাড় থেকে সমতল, সবাই একসঙ্গে বর্ষবরণ উদযাপন করব। এবারের আয়োজনের মধ্য দিয়ে একপেশে সংস্কৃতি চর্চার সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে আমরা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উদার ও শুদ্ধ চর্চার দিকে অগ্রসর হতে পারব বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
এফএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।