ঢাকা: হামীম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আহসানুল্লাহকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ নিয়ে এ ঘটনায় করা মামলার চার আসামির সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
নতুন করে গ্রেপ্তার দুজন হলেন—ইসরাফিল ওরফে ইসরান (১৯) ও মো. সুজন ইসলাম (১৯)। তারা দুজন এই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছিলেন। এর আগে এ মামলায় ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক ও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. সাইফুল ইসলাম ও তার সহযোগী নূর নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আহনাফ রাসিব বিন আলম।
তিনি বলেন, হামীম গ্রুপের জিএমকে অপহরণপূর্বক হত্যায় জড়িত ৪ জন আসামির সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সর্বশেষ গ্রেপ্তার আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত ২৩ মার্চ বিকেলে অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন হামীম গ্রুপের জিএম মো. আহসানুল্লাহ। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তারা জানান, মো. আহসানুল্লাহ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার ড্রাইভার সাইফুল সন্দেহজনক কথাবার্তা বলছেন। তাই তারা সাইফুলকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার জন্য প্রস্তুতি নেন। কিন্তু ড্রাইভার সাইফুল ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে সুকৌশলে পালিয়ে যান এবং ঢাকা ছেড়ে নিজের বাড়ি গাইবান্ধায় চলে যান।
পরে ২৫ মার্চ দুপুরে রাজধানীর উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে নিখোঁজ আহসানুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ শনাক্তের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে র্যাব-১ এবং র্যাব-১৩ এর একটি অভিযানিক দল মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে গাইবান্ধা থেকে এবং তার সহযোগী নূরনবীকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের সাথে এই ঘটনায় ইসরাফিল এবং সুজন নামের আরও দুজন জড়িত ছিলেন। পরে শুক্রবার (২৮ মার্চ) ইসরাফিল ওরফে ইসরানকে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে এবং শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে সর্বশেষ আসামি সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি সুজনকে তুরাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, অপহরণপূর্বক হামীম গ্রুপের জিএমকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তার গাড়ির চালক সাইফুল। বাকি সবাই ছিলেন এই ঘটনায় তার সহযোগী। তারা তুচ্ছ ঘটনা এবং লোভের আশায় ঈদের আগে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য জিএম আহসানুল্লাহকে অপহরণ করে নির্যাতন করার মাধ্যমে হত্যা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৫
এসসি/এমজেএফ