ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

পীর হাবিবের বাসায় হামলা: গ্রেফতার সাব্বির রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১৪, নভেম্বর ৩, ২০২০
পীর হাবিবের বাসায় হামলা: গ্রেফতার সাব্বির রিমান্ডে

ঢাকা: গৃহকর্মীকে হত্যার গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানের ঢাকার উত্তরার বাসায় হামলার ঘটনায় গ্রেফতার সাব্বির আহম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান চৌধুরী এ রিমান্ড‌ মঞ্জুর করেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের পুলিশ পরিদর্শক আহসান হাবিব খান আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুইদিন রিমান্ড দেন।

আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আবেদনে বলা হয়, সাব্বির পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফেসবুকে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করে সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা পীর হাবিবুর রহমানের বাসায় হামলা করে প্রধান ফটকসহ দরজা জানালা ভাঙচুর করে। এছাড়া তার ফ্লাটে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র নষ্ট করে।

এ ঘটনায় পরে আসামি সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামির কাছ থেকে দু’টি মোবাইল সিম পাওয়া যায়। যা আসামি সাব্বিরের নিজের ও পরিবার কারও নামে রেজিস্ট্রেশন করা নেই। অন্য কোনো ব্যক্তির নামে ওই সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে, যা রহস্যজনক। আসামি অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে এ সিম ব্যবহার করে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে ৫ দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি সাব্বির গত ১৪ ও ১৫  অক্টোবর তার ফেসবুকে প্রচার করেন ‘দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের বাসার গহকর্মীকে অত্যাচার করছে বলে জনগণের দাবী’ এবং ‘উত্তরায় সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের বাসার কাজের মেয়ে নিয়ে রহস্য, এলাকাবাসীর সন্দেহ মেয়েটাকে মেরে ফেলা হয়েছে’ মর্মে মিথ্যা বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। এর ফলে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনগণ পীর হাবিবের রাজধানীর উত্তরার বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করে।

এজাহারে বলা হয়, আসামি সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া সমাজের মানুষের কাছে শত্রুতা, ঘৃণা সৃষ্টি এবং গুজব রটানোর উদ্দেশ্যে ওই সংবাদ বা বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করে। সে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট এবং মানহানিকর তথ্য প্রচার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ও ৩১ এর (২) ধারায় অপরাধ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।