ঢাকা, রবিবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২২ সফর ১৪৪৭

আইন ও আদালত

সময় চেয়েছেন বিচারপতি খায়রুল হকের আইনজীবী, শুনানি অক্টোবরের শেষে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:০৩, আগস্ট ১৭, ২০২৫
সময় চেয়েছেন বিচারপতি খায়রুল হকের আইনজীবী, শুনানি অক্টোবরের শেষে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক

জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে।

তার আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৭ আগস্ট) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিচারপতি খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহীন বলেন, আমরা (আইনজীবী সেলিমসহ) আজকে সময় চেয়ে আবেদন করেছি। ওয়ান উইক আফটার ভ্যাকেশন (ছুটি শেষে খোলার এক সপ্তাহ পর)। আদালত সেটি মঞ্জুর করেছেন। ছুটি শেষ হবে অক্টোবরে (সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ ছুটি ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত)।  

গত ৭ আগস্ট দাখিল করা আবেদনটি ১১ আগস্ট সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চের ১৮ নম্বর ক্রমিকে ছিল। ওইদিন আবেদনটিতে খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করে। তখন দুই পক্ষে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে বলেও উপস্থিত আইনজীবীরা জানিয়েছেন। পরে আদালত শুনানির জন্য রোববার দিন রেখেছেন।  

আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ। বিচারপতি খায়রুল হকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, কামরুল হক সিদ্দিকী, জেড আই খান পান্না, মহসিন রশিদ, আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহীন ও মো. সেলিম।  

গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে এ মামলা ছাড়াও আরও তিনটি মামলা রয়েছে। একটি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত ২৭ আগস্ট শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীনের মামলা। ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় আরেকটি মামলা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া। এ ছাড়া প্লট দুর্নীতির অভিযোগে দুদকও একটি মামলা করেছে।  

২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। ২০১১ সালের ১৭ মে তিনি অবসরে যান। এরপর তিনি আইন কমিশনের তিনবার চেয়ারম্যান হন।

ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।