জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের আবেদনের শুনানি রোববার (১৭ আগস্ট) হতে পারে।
বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চের রোববারের কার্যতালিকায় ১৫ নম্বর ক্রমিকে সকাল ১১টায় শুনানির জন্য নির্ধারিত রয়েছে।
গত ৭ আগস্ট দাখিল করা আবেদনটি ১১ আগস্ট সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চের ১৮ নম্বর ক্রমিকে ছিল। ওইদিন আবেদনটিতে খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করেন। তখন দুই পক্ষে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে বলেও উপস্থিত আইনজীবীরা জানিয়েছেন। পরে আদালত শুনানির জন্য রোববার (১৭ আগস্ট) দিন রেখেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ। বিচারপতি খায়রুল হকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, কামরুল হক সিদ্দিকী, জেড আই খান পান্না, মহসিন রশিদ, আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহীন ও মো. সেলিম।
গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে এ মামলা ছাড়াও আরও তিনটি মামলা রয়েছে। একটি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত রায় জালিয়াতির অভিযোগে ২৭ আগস্ট শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীনের মামলা। ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় আরেকটি মামলা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া। এ ছাড়া প্লট দুর্নীতির অভিযোগে দুদকও একটি মামলা করেছে।
২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। ২০১১ সালের ১৭ মে তিনি অবসরে যান। এরপর তিনি আইন কমিশনের তিনবার চেয়ারম্যান হন।
ইএস/এএটি