ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আইন ও আদালত

দুই মামলায় রাশেদ চিশতীর জামিন আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৫৫, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০
দুই মামলায় রাশেদ চিশতীর জামিন আবেদন

ঢাকা: ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) অর্থ কেলেঙ্কারির দুই মামলায় আদালতে জামিন আবেদন করেছেন ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর ছেলে বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক চিশতী।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে জামিনের আবেদন করেন তিনি।

বিচারক জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

চলতি বছরের জুলাই মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দু’টি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ২১ জুলাই করা প্রথম মামলায় প্রায় ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ব্যাংকের সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মতিঝিল শাখা প্রধান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, বগুড়ার আল-ফারুক ব্যাগস লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী আল ফারুক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদওয়ানুল কবির চৌধুরী, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নিম্মি কবির চৌধুরী।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ৪০ কোটি ৭৯ লাখ ২১ টাকা নিয়েছিলেন। যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুদ ও আসলে ৬২ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৯ টাকা হয়। আসামিরা এ অর্থ পরিশোধ না আত্মসাৎ ও পাচার করেন।

অপর মামলাটি হয় এ বছর ২৭ জুলাই। এ মামলায় স্বাস্থ্যখাতের প্রতারক রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদও আসামি। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল, পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড, গুলশান করপোরেট শাখার দুই কোটি টাকা নেন। সাহেদের এক কোটি টাকার একটি এফডিআর থাকায় তা সমন্বয় করার পর ২০২০ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সুদসহ তার খেলাপি অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এ অর্থ পরিশোধ না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ ও পাচার করেন।

তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।