ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৬ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

লক্ষ্মীপুরে হত্যার দায়ে মাসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:০১, জুলাই ২৪, ২০১৮
লক্ষ্মীপুরে হত্যার দায়ে মাসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সাদ্দামকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মুরাদুল ইসলাম সুমন (২২) হত্যা মামলায় তার মা হাসিনা বেগম, ভাই (সুমনের) মো. সোহেল ও তিন ভাড়াটিয়া খুনিসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম এ রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে আদালতে সাদ্দাম নামে এক আসামি উপস্থিত ছিলেন।

অন্যরা আসামিরা পলাতক রয়েছেন।  

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত. মমিন উল্লাহর ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (২৫), লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনর ছেলে মো, সোহেল, মুরাদুল ইসলাম সুমনের মা হাসিনা বেগম, আনোয়ার উল্যাহর ছেলে আবদুর রহিম ও ইসমাইল হোসেন প্রকাশ কালা ইসমাইল।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মুরাদুল ইসলাম সুমন। নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুরের একটি ডোবায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে নিহত সুমনের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি  তদন্ত করে সাদ্দাম নামে একজনকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সুমনের মা ও ভাইয়ের সম্পৃক্ততায় ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৫ জন মিলে সুমনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন সাদ্দাম। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে নিহত সুমনের মা ও ভাইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের দীর্ঘ শুনানি শেষে ১০ জন সাক্ষীর পর আদালত এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
এসআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।