ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন (২৫) হত্যা মামলায় তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তিনজন বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় পৃথকভাবে এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
তিন আসামি হলেন- মো. মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। বর্ষার গৃহশিক্ষক ছিলেন নিহত জোবায়েদ, মাহির তার পুরোনো প্রেমিক। আর আয়লান মাহিরের বন্ধু। এছাড়া প্রিতম চন্দ্র দাস নামে মাহিরের আরেক বন্ধু সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন।
এদিন বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের বংশাল থানা থেকে সংলগ্ন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এ সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার উপপরিদর্শক আশরাফ হোসেন। সেই জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বিচারকের খাসকামরায় নেওয়া হয় তাদের।
এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া আসামি বর্ষার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান আসামি মো. মাহির রহমান এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা আসামি ফারদীন আহম্মেদ আয়লানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন প্রিতম। পরে তাকে পরিবারের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দিনভর সিএমএম আদালতের সামনে জবির একদল শিক্ষার্থী খুনিদের বিচারের দাবিতে সমবেত হয়ে দিনভর শ্লোগান দেন।
এর আগে গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর রৌশান ভিলার সিঁড়িতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন জোবায়েদ। পুলিশ জানায়, ত্রিভূজ প্রেমের বলি হন জোবায়েদ।
কেআই/এইচএ/