সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এদিন রিয়াদসহ চারজনের ১০ দিনের রিমান্ড ও আইনের সংঘাতে জড়িত এক শিশুকে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে তার আইনজীবী আক্তার হোসেন ভুঁইয়া রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের সাতদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে রোববার সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন। রিয়াদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় যান।
তখন তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামীলীগের দোসর আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে মামলার বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেন।
এ ঘটনার পর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টা দিকে আসামি রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় সজোরে ধাক্কা মারেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে মোবাইলফোনে অবহিত করলে আসামিরা চলে যায়।
পরবর্তীতে ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আসামি রিয়াদের নেতৃত্বে অপরাপর আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইলফোনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ আসামিকে হাতে-নাতে আটক করে এবং ওইসময় এজাহারনামীয় আসামি কাজী গৌরব অপু দৌড়ে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন>> গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধীর ৩ নেতা স্থায়ী বহিষ্কার
কেআই/এএটি