সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে একটি হত্যা মামলায় বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রাত সোয়া ৮টার দিকে তাকে এজলাশে তোলা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর বিচারক এজলাশে ওঠেন। এ সময় তাকে কারাগারে আটক রাখতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক খালেদ হোসেনের আবেদনের পক্ষে শুনানি হয় প্রসিকিউশনের পক্ষ।
শুনানিকালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির নেতারা প্রধান বিচারপতি থাকাকালে খায়রুল হকে দেওয়া বিতর্কিত রায়ের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। উঠে আসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির মামলার রায়, স্বাধীনতার ঘোষক সংক্রান্ত মামলার রায়ের কথা। শুনানির সময় খায়রুল হক বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এ সময় কোনো কথা না বললেও মাঝে মাঝে তাকে মুচকি হাসতে দেখা যায়।
এরপর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
দেশে ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে এ বি এম খায়রুল হক শপথ নেন ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। পরের বছরের ১৭ মে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর নেন।
বিচারাঙ্গনে তুমুলভাবে আলোচিত-সমালোচিত এ বিচারপতির তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ বেশ কয়েকটি রায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি নিজে আওয়ামী আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে।
কেআই/এমজেএফ