জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর রামপুরায় ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা হোটেল কর্মচারীকে গুলি করা এবং দুইজনকে হত্যার মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম, প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার।
পলাতক চার আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। গ্রেপ্তার এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারওয়ার জাহান।
পরে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শুনানি করেছেন। হাজির আসামির পক্ষে তার আইনজীবী আংশিক বক্তব্য রেখেছেন। রোববারের দিন বাকি বক্তব্য সমাপ্ত করতে সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার চার্জ গঠন বিষয়ে আদালত আদেশ দেবেন।
ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ছাড়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য তিন আসামি হলেন—খিলগাঁও জোনের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান এবং রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় আমির হোসেন নামের এক তরুণ রামপুরায় তার ফুফুর বাসায় যাচ্ছিলেন। পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি দেখে ভয় পেয়ে তিনি প্রাণ বাঁচাতে একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে উঠে পড়েন। পুলিশ তাকে অনুসরণ করে।
জীবন বাঁচাতে আমির হোসেন ভবনটির ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু একজন পুলিশ সদস্য তাকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়েন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আমির হোসেন তিনতলায় পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
ইএস/এসআইএস