ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২, ২৭ জুন ২০২৫, ০১ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

সাবেক সিইসি নুরুল হুদার ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৩, জুন ২৭, ২০২৫
সাবেক সিইসি নুরুল হুদার ফের ৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদা

ঢাকা: রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (২৭ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এরপর প্রথম দফায় চারদিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় দ্বিতীয় দফায় করা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দ্বিতীয় দফায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

এর আগে গত ২২ জুন সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পরদিন প্রথম দফায় তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।  

এ মামলায় বৃহস্পতিবার আরেক সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।  

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে গত ২২ জুন শেরে বাংলা নগর থানায় একটি মামলা করে বিএনপি। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।  

মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়।

সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।


কেআই/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।