ঢাকা: জুলাই আন্দোলনে রাজধানী ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানায় করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (০৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার সিএমএম আদালত এ আদেশ দেন।
অভিনেত্রী শমী কায়সারের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আনিসুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব ও জিসান হায়দার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ (২০) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। এদিন দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে মিছিলটি উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার বাম কাঁধে লাগে। তিনি তাৎক্ষণিক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হন তিনি। পরে গত ২২ আগস্ট ১১ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা ভুক্তভোগী জুবায়ের হাসান ইউসুফ। এ মামলায় শমী কায়সার সন্দেহভাজন আসামি।
এর আগে ১২ মার্চ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা ওই মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার জামিন পান। ওইদিন তার জামিন প্রশ্নে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন শমী কায়সার। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এরপর আপিল বিভাগ চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন। এর ধারাবাহিকতায় রুলের ওপর শুনানি শেষে রায় দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী সরকার পতনের পর ১৪ আগস্ট দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৫
এসএএইচ