পাকিস্তানের করাচিতে একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় নিহত বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
গত শুক্রবার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে করাচির দরিদ্র এলাকা লিয়ারিতে পাঁচতলা ওই ভবন ধসে পড়ে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবনটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং গত তিন বছরে বাসিন্দাদের উচ্ছেদ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। যদিও বাড়ির মালিক এবং কিছু বাসিন্দা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তারা কোনো নোটিশ পাননি।
শনিবার (৫ জুলাই) রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২১ বলে জানান জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জাভেদ নবী খোসো।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ভবন ধসের ঘটনায় অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। সেজন্য উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
৫৪ বছর বয়সী দেব রাজ বলেন, ‘আমার মেয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে। সে আমার খুব আদরের মেয়ে। খুব সংবেদনশীল মেয়েটা এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। মাত্র ছয় মাস আগে তার বিয়ে হয়েছিল। ’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভবন ধসে পড়ার ঠিক আগে তারা ফাটল ধরার শব্দ শুনেছেন। ভবনটি ধসের সময় বাড়ির বাইরে থাকা ৩০ বছর বয়সী বাসিন্দা শঙ্কর কাম্ভো জানান, ভবনটিতে প্রায় ২০টি পরিবার বাস করত।
তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করে জানায় যে ভবনে ফাটল ধরছে, আমি তাকে বলি দ্রুত বের হয়ে যেতে। সে তখন আশপাশের প্রতিবেশীদের সতর্ক করতে যায়, কিন্তু একজন পড়শী নারী তাকে বলেন, ‘এই ভবন আরও দশ বছর টিকবে। ’ তবু আমার স্ত্রী আমাদের মেয়েকে নিয়ে বের হয়ে আসে। প্রায় ২০ মিনিট পর ভবনটি ধসে পড়ে। ’
স্থানীয় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরিফ আজিজ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ছয়জন আহত ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনটিতে প্রায় ১০০ জন মানুষ বসবাস করছিল।
এইচএ/