কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঘিরে নানা আলোচনা-বিশ্লেষণ চলছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলা প্রথমে এক ভয়াবহ উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়—যা গোটা উপসাগরীয় অঞ্চলকে একটি বিস্তৃত সংঘাতে জড়িয়ে ফেলার আশঙ্কা তৈরি করে।
এখনো সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কাতার এই হামলায় ক্ষুব্ধ—তারা একে তাদের সার্বভৌমত্বের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে।
বিশেষ করে কাতার হতাশ, কারণ তারা ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছিল এবং কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিল।
তাদের সঙ্গে ইরানের ঐতিহাসিক সম্পর্কও রয়েছে—উভয় দেশ সমুদ্রের মাঝে থাকা একটি বিশাল গ্যাসক্ষেত্র ভাগ করে ব্যবহার করে।
বিবিসি বলছে, ইরানের এই হামলা ছিল সুপরিকল্পিত।
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং ধারণা করা হচ্ছে—হামলার আগে ইরান ইঙ্গিত দিয়েছিল, যেমনটি তারা ২০২০ সালে জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যার প্রতিক্রিয়ায় করেছিল।
মাত্র ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে—যদিও তা বিপজ্জনক, তবে ইরানের সম্ভাব্য পূর্ণ শক্তির তুলনায় তা অনেকটাই সীমিত।
তাই এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল—মার্কিন হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, কিন্তু এমনভাবে নয় যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে ভয়াবহ পাল্টা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এখন সিদ্ধান্তের পালা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। যদি তিনি এখানেই থামেন, তবে হয়তো আজ রাতই হবে এই সংঘাতের সর্বোচ্চ বিন্দু।
এমনকি ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক আলোচনার পথও আবার খুলে যেতে পারে।
তবে ট্রাম্প কী ভাবছেন, তা এখনো অনিশ্চিত। যদি তিনি পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে এই গ্রীষ্ম উপসাগরীয় অঞ্চলের জন্য হয়ে উঠতে পারে এক উত্তপ্ত অধ্যায়।
এইচএ/এমজেএফ