পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ ও পূর্ব আফগানিস্তানের ছয়টি সীমান্ত প্রদেশে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে।
সংঘর্ষের পেছনে মূল কারণ হিসেবে রয়েছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী কর্তৃক শুক্রবার রাতে কাবুলে পরিচালিত বিমান হামলা। ইসলামাবাদ এই হামলায় সন্ত্রাসী সংগঠন টিটিপির প্রধান নেতা নূর ওয়ালী মেসুদকে লক্ষ্য করেছিল। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র রূপ ধারণ করেছে।
আফগান প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিমান হামলার জবাবে তারা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান হামলার জবাবে আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তরক্ষীরা সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এর আগে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানকে তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে। ১০ অক্টোবর আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান কাবুলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে এবং মার্ঘা অঞ্চলের পাকতিকাতে একটি মার্কেটে বোমাবর্ষণ করেছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন, সহিংস ও নিন্দনীয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
এর আগে কুনার ও নাঙ্গারহার প্রদেশের কল্পিত সীমারেখা বরাবরও পাকিস্তানি সামরিক পোস্ট দখলের খবর পাওয়া গিয়েছিল। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রদেশে ডুরান্ড লাইনের কাছে পাকিস্তানি মিলিশিয়াদের ওপর আফগান বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। এসব হামলায় আফগান বাহিনী বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি মিলিশিয়া পোস্টও দখল ও ধ্বংস করেছে। এই হামলার নির্দেশনা আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মুহাম্মাদ ইয়াকুব মুজাহিদের কাছ থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে কাবুলে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, বিমান হামলা টিটিপির প্রধান নূর ওয়ালী মেসুদকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে। তবে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এই তথ্য অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, টিটিপির প্রধান কাবুলে উপস্থিত ছিলেন না।
এমজে