মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, ইরানে গত রাতের বিমান হামলা ছিল দেশটির পরমাণু সক্ষমতা ধ্বংস করার লক্ষ্যে চালানো একটি পরিকল্পিত অভিযান।
পেন্টাগনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দাবি করেন, এই হামলা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে।
পেন্টাগন বলছে, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এয়ার ফোর্স জেনারেল ড্যান কেইন বলেন, চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা যা দেখছি, তাতে স্পষ্ট, তিনটি স্থাপনায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।
জেনারেল কেইন আরও জানান, ইস্পাহানে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শেষ আঘাতটি হানা হয়েছিল যেন অভিযানটি পুরোপুরি গোপন রাখা যায়।
ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের উপস্থিতি বুঝতে পারেনি, বলেন তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বাহিনী যখন ফিরে আসছিল, তখন তাদের লক্ষ্য করে কোনো গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেনি।
এদিকে পিট হেগসেথ বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধ চান না, বরং শান্তির পথেই এগোতে চান। তিনি বলেছেন, ‘পরমাণু নয়, শান্তি চাই’। ইরানের উচিত এই সুযোগকে কাজে লাগানো, বলেন হেগসেথ।
তিনি আরও জানান, ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যমে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইরান যদি প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে জবাব হবে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
ইরানের উচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে শোনা। তিনি যা বলেন, সেটি তিনি বাস্তবেই করে থাকেন, বলেন হেগসেথ।
এই অভিযানের প্রশংসা করে হেগসেথ বলেন, অনেক প্রেসিডেন্ট স্বপ্ন দেখেছিলেন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ইতি টানার, কিন্তু কেবল ট্রাম্পই তা বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। এই অভিযান ছিল সাহসী, কৌশলগতভাবে দুর্দান্ত এবং সফল, দাবি করেন তিনি।
শেষে হেগসেথ বলেন, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কথা বলেন, তখন শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, গোটা বিশ্বেরই তা শোনা উচিত। এমন জটিল অভিযান কেবল আমরাই চালাতে পারি।
আরএইচ